সময়ের মূল্য
রচনার সংকেত: ভূমিকা, মানব জীবন ও সময় ,সময়ের মূল্য, অলসতার কুফল ,মনীষীদের উদাহরণ, উপসংহার।
ভূমিকা: নদীর স্রোতের মতো সময় নিত্য প্রবাহমান। সময় কখনও এক মুহুর্তের জন্য থেমে থাকে না। নদীর স্রোতকে হয়তো রুদ্ধ করা যায়, কিন্তু সময়ের গতি কে কখনো আটকে রাখা যায় না। সময় হারিয়ে গেলে তাকে আর ফিরিয়ে আনার কোনো উপায় নেই।জন্মলগ্ন থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত শুধু সময়ের প্রবাহ মানুষের জীবনে এজন্য সময়ে সবচেয়ে মূল্যবান।
মানব জীবন ও সময়: মহাকালের প্রবাহমানতায় কত মূল্যবান যুগাদ অতীত হয়ে গেছে। আজকের বর্তমান কাল অতীতের অন্ধকারে লীন হয়ে যাবে।আমরা যদি ব্যক্তি মানুষের জীবনের মাপকাঠিতে সময়ের পরিমাপ করি তাহলে বুঝবো প্রত্যেক মানুষের জীবনে সময় অত্যন্ত সীমিত এবং পরিমিত।মানুষ যদি শুয়ে, বসে, অলসতায় সময় কাটিয়ে দেয়, তবে তার জীবন অর্থহীন হয়ে যাবে। ভাগ্য এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। কিন্তু এই স্থিরতা আসলে মনের স্থবিরতা। সময়ের গতিময়তায় দেহ জীর্ণ হয়। একদিন জীবনাবসানে সবকিছু ব্যর্থ হয়ে যায়।
সময়ের মূল্য: মানুষের জীবনে যে সময় একবার হারিয়ে যায় তা আর কখনো ফিরে না। তাই সময় এত মূল্যবান।এমনিতেই আমরা ঘুমিয়ে জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় নিজেদের অজান্তে খরচ করে ফেলি। বাকি সময়ের বেশ খানিকটা কেটে যায় আহার বিহার আমোদ-প্রমোদে।বাকি যে সময়টুকু থাকে, তার সদ্ব্যবহার করে আমরা জীবনকে নানাভাবে গড়ে তুলতে পারি।প্রত্যেক মানুষের মধ্যে রয়েছে নানা মূল্যবান সম্ভাবনা। শিক্ষা ও অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে তাকে পরিস্ফুট করে তুলতে হয়। তার জন্য সময় চাই। তাই সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের হিসাব করে খরচ করা আবশ্যক।
অলসতার কুফল: জীবনে নানা প্রলোভন আমাদের সাধনার পথ থেকে মাঝেমধ্যেই বিচ্যুত করে দেয়। অলসতায় আমরা মূল্যবান সময়কে হারিয়ে ফেলি। খেলাধুলা, আমোদ-প্রমোদে গা ভাসিয়ে সময় এর অসৎ ব্যবহার করি। পৃথিবীর সভ্যতা গড়ে তুলেছে মানুষ। করাঅত্ত করেছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের কলাকৌশল কে। যুগ যুগ ধরে মানুষের পরিশ্রমের ফসল হলো এই জ্ঞান বিজ্ঞান।
মনীষীদের উদাহরণ: আমরা মনীষীদের জীবন নিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখতে পাবো জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কে তারা সাধনার জন্য ব্যয় করেছেন। পৃথিবীর যেকোন ক্ষেত্রে সফল মানুষ হলেন কর্মযোগী। কর্ম সাধনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করার এক দুর্বার আবেগ। যে মানুষ সময়ের সদ্ব্যবহার করে, তার জীবন সব দিক থেকে সার্থক হয়ে ওঠে।
উপসংহার: ব্যবহারিক জীবনে ও প্রতিদিন আমরা নানাভাবে সময়ের মূল্য কতখানি তা বুঝতে পারি। ঠিক সময়ে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে না পারলে তার জীবনহানি ঘটতে পারে।সময়কে বেহিসেবী খরচ করলে ঠিক সময়ে ট্রেন ধরতে পারি না, ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছাতে পারি না, কর্মক্ষেত্রে অসংখ্য কাজ বিলম্বিত হয়ে পড়ে। একটা দেশের মূল্যবান কাজকর্ম শিথিলভাবে চলতে থাকে। ফলে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির রুদ্ধ হয়ে যায়। এইজন্যই সময়ের মূল্য সম্পর্কে প্রতিটি মানুষের অবহিত থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন।
- অনুসরণে লেখা যায় : (১) সময়ের সদব্যাবহার। (২) জীবনে অলসতার পরিনাম।
কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন যে আপনাদের কোন বিষয়ে article প্রয়োজন।
i helpfull
ReplyDeletehttps://banglarachana.com/সময়ের-মূল্য-রচনা/
ReplyDeletehttps://banglarachana.com/সময়ের-মূল্য-রচনা/
ReplyDelete